menu logo
amar pet logo
বিড়ালের বমির কারণ ও প্রতিকার: জেনে নিন সঠিক পরামর্শ

বিড়ালের বমির কারণ ও প্রতিকার: জেনে নিন সঠিক পরামর্শ

বিড়ালের বমি সাধারণত তেমন বিপজ্জনক নয়। তবে ঘন ঘন বমি করলে তা পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। খাবার পরিবর্তন, পানির ব্যবস্থা, এবং প্রয়োজন হলে ভেটের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা করানো উচিত।

user-profile

Tanvir Chowdhury

Writer

PUBLISHED ONNov 17, 2024

আপনার যদি কোন বিড়াল থেকে থাকে তবে আপনি দেখবেন আপনার বিড়াল প্রায়'ই বমি করছে। বমি করা বিড়াল দের জন্য অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু আপনার বিড়াল যদি ঘন ঘন বমি করে যেমন সপ্তাহে ২/৩ বার কিংবা প্রতি সপ্তাহেই বমি করতেসে তবে অবশ্যই তখন ভেট দেখানো অত্যন্ত জরুরী। বিড়ালের বমি করা তেমন সিরিয়াস কোন সমস্যা নয় তাই বমি করা মাত্রই ভেট দেখাতে নিয়ে যেতে হবে এমন  কিছু না। আপনার বিড়াল বমি করলে আপনি লক্ষ রাখুন তার প্রতি, বিড়াল যদি ঘনঘন কয়েকবার বমি করে তবে তখন ভেটের কাছে নিয়ে যাবেন। 

বিড়ালের বমি কত ধরনের হয়? 

বিড়াল যখন বমি করে, তখন এটাকে দুই বিভাগে ভাগ করা যায় chronic এবং acute বমি। ক্রনিক বমি মানে বিড়াল নিয়মিত (মাসে অন্তত একবার, তবে এটি প্রতিদিনও হতে পারে) দীর্ঘ সময় ধরে বমি করছে। সাধারণত, প্রতিটি বিড়াল'ই এক বা দুই বার বমি করে কয়েকমাস পর পর। যখন একটি বিড়াল, যে সাধারণত বমি করে না, বমি করতে শুরু করে, সেটিকে অ্যাকিউট বলা হয়। যদি বিড়াল একাধিক বার বমি করে, তাহলে অবশ্যই ভেটের শরপণাপন্ন হতে হবে এবং কোন ভাবেই হেলাফেলা করা যাবে না।

অ্যাকিউট বমির ক্ষেত্রে দ্রুত এর চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। তবে যদি বিড়াল মাত্র এক থেকে তিনবার বমি করে এবং অন্য কোন অস্বাভাবিক আচরণ না থাকে, তবে তখন ভেটের কাছে যাওয়ার দরকার নেই । যদি বিড়ালের খাওয়ার চাহিদা ঠিক থাকে এবং তার রুটিন অনুযায়ী খাওয়া দাওয়া করে তবে এখানে ভয়ের কিছুই নেই।

যদি বিড়াল তিনবারের বেশি বমি করে, খাবার খেতে না পারে এবং ক্লান্তহয়ে যায়, তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ভেটের কাছে নিয়ে যেতে হবে।আপনার বিড়াল যদি ঘনঘন বমি করতেই থাকে তবে যত দ্রুত সম্ভব বিড়ালের চিকিৎসা দিতে হবে। সাধারণত ভেটের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। যদি বিড়ালটির শরীর দ্রুত খারাপ হতে থাকে, তাহলে জরুরি চিকিৎসা নেওয়া উচিত। অতিতিরিক্ত বমি করার ফলে বিড়াল স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে, বিশেষত হৃদ রোগ, তাই চিকিৎসা নিতে দেরি করা বিপজ্জনক হতে পারে।

ক্রনিক বমি করা বিড়ালকেও মাঝে মাঝে ভেটের কাছে নেওয়া উচিত। তবে তেমন জরুরি না যদি আপনার বিড়াল খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করে ও তার মাঝে দুর্বলতার কোনো লক্ষণ না থাকে । 

একটা সময়, মাসে এক বা দুইবার বমি করা বিড়ালের জন্য স্বাভাবিক বলে মনে করা হত, কিন্তু এখন এই ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। যদি আপনার বিড়াল প্রায়ই হেয়ারবল বমি করে, তাহলে তার অন্ত্রের কোনো রোগ থাকতে পারে যা হেয়ারবলগুলো স্বাভাবিকভাবে বের হতে দিচ্ছে না। ক্রনিক বমি করা বিড়ালের জন্য চিকিৎসা দ্রুত না করা হলেও, তাকে একবার ভেটের কাছে নিয়ে ভালো করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো উচিৎ। এতে করে আপনি দুশ্চিন্তা মূলত হয়ে থাকতে পারবেন। 

বিড়াল বমি কেন করে ? 

অ্যাকিউট বা ক্রনিক বমির কারণগুলি প্রায়, তবে কিছু ব্যতিক্রমও আছে। বিষাক্ত পদার্থ সাধারণত ক্রনিক বমির কারণ নয় (যদি না বিড়ালটি দীর্ঘ সময় ধরে একই বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসে, যেমন বিষাক্ত গাছ খাওয়া)। সুতা কিংবা কোন ছোট কিছু গিললে ক্রনিক বমি হয় না  — তবে যদি বস্তুটি পেটের মধ্যে থাকে, তাহলে এটি ক্রনিক বমির কারনে হতে পারে।

দুর্ভাগ্যবশত, বমি একটি খুব খারাপ লক্ষণ, এবং এর কারণগুলি মাঝে মাঝে বুঝাও যায় না । প্রকৃতপক্ষে, প্রায় যে কোনও বিড়ালের রোগ বমির কারণ হতে পারে। সাধারণভাবে, বমির কারণগুলিকে এই ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে রাখা যায়: বিষাক্ত পদার্থ, ওষুধ, গ্যাসট্রিক (পেটের), অন্ত্রের, অঙ্গের অকার্যকরতা, অ্যান্ডোক্রাইন, নিউরোলজিক (সাধারণত মস্তিষ্ক-সংক্রান্ত), সংক্রামক, এবং ক্যান্সার।

বিড়ালের বমি হলে কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। প্রথমত, বিড়ালের বমির কারণ বুঝতে চেষ্টা করতে হবে । বিড়াল কি একবারই বমি করেছে, নাকি বারবার?

যদি একবারই হয় এবং বিড়ালটি স্বাভাবিক আচরণ করে , তাহলে তা সাধারণত তেমন দুশ্চিন্তার বিষয় নয়। তবে যদি বমি চলতে থাকে, বা বমির সঙ্গে রক্ত বা অন্য কিছু অস্বাভাবিক উপাদান থাকে, তখন এটি গুরুতর সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।

অবজার্ভেশন

বিড়ালের বমি করার পর তা লক্ষ করুন। বমির ধরন ও রঙ (যেমন খাবার, ফোম, বা মিষ্টি রং) লক্ষ্য করুন। এছাড়া, বিড়ালের খাবার গ্রহণের অভ্যাস, পানি খাওয়ার অভ্যাস এসব দিকে খেয়াল করুন। যদি বিড়ালটি খাবার না খায় বা দুর্বল হয়ে পরে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

খাবার পরিবর্তন

বিড়ালের খাবার পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। হালকা খাবার যেমন সিদ্ধ চিকেন বা মাছ দিতে পারেন। এটি হজমে সাহায্য করতে পারে। বেশিরভাগ সময় বিড়ালদের জন্য বিশেষ খাবার পাওয়া যায় যা সহজে হজম হয় এবং বমি কমাতে সাহায্য করে।

পানি পান করা নিশ্চিত করুন

বিড়ালের জন্য টাটকা ও পরিষ্কার পানি দিতে চেষ্টা করুন। ডিহাইড্রেশন বিড়ালের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তাই পাননি পান করতে অভ্যস্ত করুন। যদি বিড়ালটি পানি পান না করে, তখন তরল খাবার দিতে পারেন।

পশু চিকিৎসকের পরামর্শ

যদি বমি ২৪ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়, বা বিড়ালটি দুর্বল বা অসুস্থ দেখায়, তাহলে অবশ্যই পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তারা সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করবেন।

ডায়েট নিয়ন্ত্রণ

বিড়ালের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। অনেক সময় বিড়াল দ্রুত খাবার খাওয়ার কারণে বমি করে। এর জন্য বিশেষ ডিশ বা খাদ্য ব্যবহার করা যেতে পারে যা ধীরে ধীরে খাওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

বিড়ালের বমি করা আপাতদৃষ্টি'তে ভয়ের কারণ না হলেও ঘন ঘন বমি করা খারাপ লক্ষণ তাই সতর্ক থাকুন ও বমি করলে তা লকক্ষ রাখুন। 

Share

SIGN UP TO

NEWSLETTER

Get in Touch

Corporate Office:Zakir Complex (9th Floor), Ka-218, Kuril Chowrasta, Dhaka-1229, Bangladesh.

Pickup Point:Siraj Garden, Ka-193/B, Sayed Ali Member Bari, Kuril Chowrasta, Dhaka-1229, Bangladesh.

Mobile Apps

ssl-commerce
AmarPet.com© 2024 All Rights Reserved