menu logo
amar pet logo
বিড়াল পালনের সঠিক নিয়মাবলী: নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস

বিড়াল পালনের সঠিক নিয়মাবলী: নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস

বিড়াল ছানা এডপ্ট করার আগে সঠিক যত্ন ও পরিচর্যার নিয়ম জানাটা জরুরি। এই গাইডে বিড়ালের খাবার, গ্রুমিং, লিটার বক্স, টিকা এবং স্পে/নিউটার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।

user-profile

Tanvir Chowdhury

Writer

PUBLISHED ONSep 24, 2024

বিড়াল ছানা এডপট করার পূর্বে আমাদের উচিৎ বিড়াল পালনের কিছু নিয়ম সম্পর্কে জানা 

বাসায় ছোট্ট একটি সদস্য নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই আপনি অনেক বেশি এক্সাইটেড থাকবেন। শুরুতেই আপনাকে বিশেষ কিছু ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। আপনাকে জানতে হবে কিভাবে একটা বিড়াল'কে যত্ন নিতে হয়। বিড়ালের সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কেও জানা জরুরী । যার মাধ্যমে আপনি আপনার আদরের বিড়াল'ছানাকে উপহার দিতে পারবেন সুন্দর একটি জীবন। 

কিটেন'দের বিশেষ কিছু যত্নের দরকার পরে। তাদের খাবার চাহিদাও হয় ভিন্ন রকমের তাই এই বিষয়ে থাকতে হবে সতর্ক।  

আপনি যখন প্রথম কোন বিড়ালছানা নিয়ে আসবেন প্রথমে আপনার বাসার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে তাকে কিছুটা সময় দিতে হবে। হয়ত শুরুতে কিছুটা ভয় পেতে পারে কিংবা কাছে আসতে চাইবে না। এই সময়টুকু ধৈর্যর সাথে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। তাকে আদর করুন, খেতে দিন, পুরো বাসা ঘুরে দেখার সুযোগ দিন। আস্তে আস্তে সে এডজাস্ট হয়ে যাবে। 

বাসায় বিড়াল নিয়ে আসলে শুরুতে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে পারেন তার কিছু টিপস শেয়ার করা হলোঃ 

সঠিক পরিমাণের খাবার দেয়া

মানুষের মতন'ই বিড়ালের সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। অনিয়ম বা ভুল ডায়েটের খাবার খাওয়ার ফলে অনেক সময় তাদের শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়ম মেনে খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। দানাদার খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন পরিষ্কার পানি খাওয়াতে হবে। ছোট্ট বিড়ালদের খাবার চাহিদা বেশি হয়ে থাকে । কেননা এই সময়ে তারা অনেক বেশি ছোটাছুটি ও খেলাধুলা করে সারাদিন। পাশাপাশি তাদের শরীর থাকে বাড়ন্ত তাই এই সময়ে তাদের শরীরের হাড় ও পেশী মজবুত করতে সঠিক পরিমাণ খাবার খাওয়া খুবী দরকারি। সেইসাথে তারা অনেক অল্প পরিমাণের খাদ্য গ্রহণ করে থাকে যার জন্য ঘনঘন তাদের খাবার দিতে হয়। 

এডালট বিড়ালের ক্ষেত্রে, তারা খেলাধুলা কমিয়ে দেয় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার খেতে পারে সেজন্য দিনে ৩-৪ বার খাবার দিলেই তাদের জন্য যথেষ্ট।

আপনার আদরের বিড়ালের সকল ক্যাটফুড পেতে ভিজিট করুন www.amarpet.com 

বিড়ালের গ্রুমিং সেশনঃ 

বিড়াল সাধারণত অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ধরণের প্রাণী যার ফলে সে প্রতিনিয়ত নিজেকে গ্রুমিং করে থাকে। কিন্তু কিটেন কিংবা অনেক বৃদ্ধ বিড়াল তাদের নিজেদের দেখভাল করতে পারে না। আবার অনেক সময় দেখা যায় ময়লায় খেলাধুলা করার কারণে তাদের শরীর অপরিষ্কার হয়ে যায়। আপনার বিড়ালের লোম যদি বেশি ঘন কিংবা বড় হয়ে থাকলে তখন দেখা যায় কিছুদিন পর পর তা ময়লা হয়ে যাচ্ছে। এজন্য তাদের গোসল করিয়ে দেয়া অনেক দরকারি। 

কেননা দির্ঘদিন শরীর ময়লা হয়ে থাকলে তাদের উকুন বা বিভিন্ন ধরনের পরজীবী বাসা বাধতে পারে তাদের শরীরে। ম্যাটেড ফার হওয়ার সম্ভবনাও হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে সপ্তাহে একদিন, শীতে মাসে একবার গোসল করিয়ে দিলে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। 

পরিষ্কার জায়গাঃ 

বিড়াল নিজে পরিষ্কার থাকতে যেমন পছন্দ করে ঠিক তেমন ভাবে পরিষ্কার স্থানে থাকতে পছন্দ করে।ময়লা স্থানে বিড়াল একেবারেই থাকতে চায়না । তাই আপনার আদরের বিড়ালের জন্য পরিষ্কার স্থানের ব্যাবস্থা করে দিতে হবে আপনাকে। 

লিটার বক্সঃ 

যারা বাড়িতে বিড়াল পালন করেন তাদের অনেকেই Cat Litter এর সাথে পরিচিত।  বিড়ালের টয়লেট হিসেবে বালুর পরিবর্তে Cat Litter ব্যাবহার করা যায়।  এটি ছোট ছোট দানার মত অথবা ছোট পাথরের মত সাদা রঙের হয়ে থাকে। সহজে পরিস্কার করা যায় এবং গন্ধ মুক্ত রাখে বলে বিড়ালপ্রেমীদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একটি বয়স্ক বিড়ালের জন্য ৫ লিটার দিয়ে ২৫-৩০দিন পর্যন্ত চলে। 

Cat Litter কিনতে ভিজিট করুন www.amarpet.com

ক্যাট প্রুফঃ  

যারা বিড়াল পালতে চাচ্ছেন তারা অনেকেই এই শব্দের সাথে হয়ত পরিচিত নন। ক্যাট প্রুফ বলতে মূলত বুঝায় আপনার বাসাকে আপনার আদরের বিড়ালের জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত করে তোলা। 

তারা অবুঝ প্রাণী হওয়ায় নিজের ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা রাখে না, যার ফলে তারা খোলা জানালা কিংবা দরজা পেলে বাহিরের চলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে যায়। প্রতিবছর মানুষের অসচেতনার জন্য প্রচুর বিড়াল জানালা থেকে পরে গিয়ে মারা যায়, অনেকে গুরুতর আহত হয়ে সারাজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। তাই আপনার বিড়াল বাসায় নিয়ে আসার পূর্বেই আপনার বাসাকে ক্যাট প্রুফ করা অত্যন্ত জরুরী।

 টিকা দেয়া 

বিড়ালের টিকা খুব বেশি নেই। কিন্তু তা সময়মত দেয়া অনেক জরুরী নতুবা তারা নানবিধ রোগে আক্রান্ত হতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। দুই মাস বয়স হলে তাদের প্রথম টিকা দেয়া হয় এরপর প্রতিবছর তাদের বুস্টার ডোজ দিতে হয়। 

স্পে কিংবা নিউটার 

বিড়ালের একটি নর্দিষ্ট বয়সের পরে হিটে আসে এই সময় তার বাহিরে চলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এমনকি স্পে না করানো হলে ফিমেল ক্যাটের পয়মেট্রা রোগ হয়ে থাকে। যা মরণব্যাধি রোগ। তাই আপনার বিড়াল কে স্পে বা নিউটার করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে আপনি তাদের সুরক্ষিত করতে পারেন। 

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ 

আপনার বিড়ালের একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে বয়স অনুযায়ী ওজন রাখা অনেক জরুরী কেননা অতিরিক্ত ওজন যেমন ভালো নয় আবার কম হওয়াও উচিৎ নয়। 

আপনি যদি একটা কিটেন কিংবা এডাল্ট বিড়াল পরিবারের সদস্য হিসেবে নিয়ে আসতে চান তবে তার সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও সুস্বাস্থ্যের মাধ্যমে তাকে সুন্দর একটা জীবন উপহার দিতে পারেন। আশাকরি আমাদের দেয়া টিপস গুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনি আপনার নতুন সদস্যের যত্ন নিতে পারবেন। 

আদরের বিড়ালের সকল কিছু পেতে ভিজিট করুনঃ www.amarpet.com 

Share

SIGN UP TO

NEWSLETTER

Get in Touch

Corporate Office:Zakir Complex (9th Floor), Ka-218, Kuril Chowrasta, Dhaka-1229, Bangladesh.

Pickup Point:Siraj Garden, Ka-193/B, Sayed Ali Member Bari, Kuril Chowrasta, Dhaka-1229, Bangladesh.

Mobile Apps

ssl-commerce
AmarPet.com© 2024 All Rights Reserved