menu logo
amar pet logo
বিড়ালের বিভিন্ন জাতের বৈশিষ্ট্য তাদের খাদ্যাভাস ও যত্নের টিপস

বিড়ালের বিভিন্ন জাতের বৈশিষ্ট্য তাদের খাদ্যাভাস ও যত্নের টিপস

বিড়ালের বিভিন্ন জাত, তাদের খাদ্যাভাস এবং সঠিক যত্নের টিপস নিয়ে পড়ুন। পোষ্য বিড়ালের জন্য আদর্শ খাবার এবং যত্নের তথ্য যা আপনার বিড়ালকে সুস্থ রাখবে।

user-profile

Tanvir Chowdhury

Writer

PUBLISHED ONNov 18, 2024

গৃহে পালিত পোষা প্রাণীদের মধ্যে বিড়াল অন্যতম। প্রায় এক হাজার বছর ধরে বিড়াল আমাদের সাথে পোষা প্রাণী হিসেবে রয়েছে। বিড়াল অত্যন্ত আদুরে চঞ্চল প্রকৃতির প্রাণী। এবং এদের এসকল বৈশিষ্ট্যের জন্য'ই মূলত বিড়াল আমাদের মাঝে এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিড়ালের মধ্যে শিকারি মনোভাব ও রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের ছোট প্রাণী শিকার করে সেগুলোর সাথে খেলা করতে পছন্দ করে । অনেক সময় দেখা যায় তারা তাদের প্রিয় মনিবের জন্য এসকল শিকার করা প্রাণী উপহার হিসেবে নিয়ে আসে।  বিড়ালের আরোও অনেক মজার মজার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই আপনি যদি বিড়াল প্রেমী হয়ে থাকেন তবে এই ব্লগ টি আপনর জন্য। 

কিছু ক্যাট ব্রিডের বর্ননা দেয়া হলোঃ  

১. সিমিস (Siamese)

সিয়ামীজ বিড়াল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রাচীন বিড়াল জাত, যার জন্ম থাইল্যান্ড (আগে সিয়াম নামে পরিচিত)। এই বিড়ালদের শরীর লম্বা, পাতলা এবং স্লিম, এবং তাদের বড় বড় নীল চোখ ও সোনালি-বেগুনি পয়েন্ট প্যাটার্ন তাদের এক্সক্লুসিভ সৌন্দর্য প্রদান করে। সিয়ামীজ বিড়ালগুলি খুবই সামাজিক, চঞ্চল ও মিষ্টি স্বভাবের, এবং মানুষের সঙ্গ পছন্দ করে। তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান, সহজেই শিখে এবং একা থাকতে পছন্দ করে না। খাবারে তারা মাংস, মাছ ও প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি পছন্দ করে। এই বিড়ালগুলি তাদের মালিকদের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং সাধারণত খুব প্রিয় ও বিশ্বাসী হয়।

২. পার্সিয়ান (Persian)

পার্শিয়ান বিড়াল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পুরোনো বিড়ালের জাত, যা তার নরম, ঘন পশম এবং গোলাকার মুখাবয়বের জন্য পরিচিত। এই বিড়ালগুলি সাধারণত শান্ত, শান্তিপূর্ণ এবং পবন্ধু সুলভ স্বভাবের হয়। পার্শিয়ান বিড়ালের চোখ বড়, গোলাকার এবং সাধারণত নীল বা সোনালি রঙের হয়, আর তাদের শরীর মাঝারি আকারের এবং মিষ্টি, গোলাকার গঠন থাকে। এদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল তাদের লম্বা, ঘন ও মসৃণ পশম, যা নিয়মিতভাবে ব্রাশ করা প্রয়োজন। পার্শিয়ান বিড়ালরা সাধারণত একা থাকতে পছন্দ করে না এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসে। তাদের খাবারে মাংস ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পছন্দ, এবং তারা খুব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এই বিড়ালগুলো সাধারণত কম অস্থির এবং বেশ শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে, যা বাড়ির পরিবেশে শীতলতা ও প্রশান্তি নিয়ে আসে।

৩. মেইন কুন (Maine Coon)

এটি একটি বৃহদায়তন এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় জাতের বিড়াল, যা তার বড় আকার, ঘন পশম এবং মনোরম স্বভাবের জন্য পরিচিত। এই বিড়ালটি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্য রাজ্য থেকে এসেছে, এবং এটি বিশ্বের অন্যতম বড় বিড়াল জাত হিসেবে পরিচিত। মেইন কুন বিড়ালের শারীরিক গঠন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং লম্বা, তবে তাদের স্বভাব অত্যন্ত মিষ্টি, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সামাজিক। এই বিড়ালগুলির সোনালি বা সাদা অথবা কালো রঙের মোটা পশম থাকে, যা ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত, এবং তাদের গা দিয়ে আছড়ে পড়া লম্বা লেজ খুবই পরিচিত। মেইন কুন বিড়ালদের চোখ বড়, সবুজ বা সোনালি রঙের হয় এবং মুখের আকারও একটু ত্রিভুজাকার।

মেইন কুন বিড়াল খুবই সামাজিক এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা সাধারণত শিশু এবং অন্যান্য পোষা প্রাণীর সাথেও ভাল সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, এবং একা থাকতে খুব একটা পছন্দ করে না। তাদের খাদ্যাভ্যাসও বেশ চাহিদাপূর্ণ, এবং তারা মাংস, মাছ বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পছন্দ করে। মেইন কুন বিড়াল সাধারণত শান্ত স্বভাবের হলেও, তারা খুবই খেলাধুলাপ্রিয় এবং খুব সচেতন, কখনো কখনো তাদের দেখতে খুবই বুদ্ধিমান মনে হয়। তাদের মিষ্টি, আনন্দময় ও সামাজিক প্রকৃতি তাদের একটি চমৎকার পোষা প্রাণী বানিয়ে তোলে।

 

৪. রেগডল (Ragdoll)

রাগডল বিড়াল একটি অত্যন্ত শান্ত, কোমল ও অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ বিড়ালের জাত, যা তার বড় আকার, নরম পশম এবং মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য পরিচিত। রাগডল বিড়ালের জন্ম হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৯৬০-এর দশকে, এবং এর নামকরণ করা হয় "রাগডল" (যার মানে 'পুতুল'), কারণ এই বিড়ালরা যখন তাদের মালিকদের কোলে বা হাতে তুলে নেওয়া হয়, তখন তারা অবসন্ন হয়ে পড়ে এবং একপ্রকার "পুতুলের মতো" নরম ও নমনীয় হয়ে যায়। এই বিড়ালদের শরীর মাঝারি থেকে বড় আকারের, দীর্ঘ এবং স্লিম, এবং তাদের পশম খুবই মসৃণ, দীর্ঘ এবং সিল্কি, যা নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন।

রাগডল বিড়ালগুলির চোখ বড় এবং নীল রঙের, এবং তাদের গায়ের রঙ সাধারণত হালকা থাকে, তবে পয়েন্ট প্যাটার্নে (মুখ, কান, পা, লেজ) গা গাঢ় রঙ দেখা যায়। তারা অত্যন্ত শান্ত, স্নেহপূর্ণ এবং মানুষপ্রিয়, তাই তারা একা থাকতে পছন্দ করে না এবং পরিবারের সবার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। রাগডল বিড়াল খুবই সামাজিক, সহজে অন্য পোষা প্রাণী ও শিশুদের সঙ্গেও মেলামেশা করতে পারে, এবং খুব কমই আক্রমণাত্মক বা চঞ্চল হয়।

এরা সাধারণত শান্ত পরিবেশ পছন্দ করে এবং তাদের জন্য খাবারে মাংস বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার উপযুক্ত। রাগডল বিড়ালদের সাধারণত খুব যত্নশীল মালিকদের প্রয়োজন, যারা তাদের স্নেহ ও সময় দেয়। তাদের ধৈর্যশীল প্রকৃতি এবং মানুষের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা রাগডল বিড়ালকে একটি আদর্শ পোষা প্রাণী হিসেবে পরিণত করেছে।

৫. ব্রিটিশ শর্টহেয়ার (British Shorthair)

ব্রিটিশ শর্টহেয়ার  বিড়াল একটি জনপ্রিয়, মিষ্টি এবং শান্ত স্বভাবের বিড়ালের জাত, যা তার গোলাকার মুখাবয়ব, পুরু শরীর এবং অত্যন্ত মিষ্টি মনোভাবের জন্য পরিচিত। এই জাতের বিড়ালটি ইংল্যান্ডে উদ্ভূত এবং এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।এই বিড়ালের শরীর মজবুত, বড় এবং গোলাকার, এবং তাদের শরীরের পশম খুবই মোলায়েম, ঘন এবং ছোট। এটি একটি শারীরিকভাবে শক্তিশালী বিড়াল, তবে তাদের স্বভাব অত্যন্ত শান্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। এই বিড়ালদের গায়ে বিভিন্ন রঙ এবং প্যাটার্ন থাকতে পারে, তবে সবচেয়ে পরিচিত রঙ হলো নীল বা গ্রে। তাদের চোখ সাধারণত বড় এবং গোলাকার, সোনালি বা সবুজ রঙের হয়।

এই বিড়ালগুলি খুবই স্বতন্ত্র ও শান্ত প্রকৃতির, এবং মানুষের সঙ্গ পছন্দ করে, তবে তারা খুবই স্বাধীনতাপ্রিয়ও হতে পারে। তারা খুবই বুদ্ধিমান, কিন্তু খুব বেশি মজা বা চঞ্চলতা পছন্দ করে না। এই বিড়ালগুলি সাধারণত একা থাকতে পছন্দ করে না এবং মানুষের কাছ থেকে স্নেহ এবং মনোযোগ চায়, তবে তারা কখনও অত্যধিক এটেনশন চাচ্ছে এমনটা হয় না।

এরা সাধারণত সহজেই ঘরোয়া পরিবেশে মানিয়ে নেয় এবং পরিবারের সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে। খাবারের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ শর্টহেয়ার বিড়ালরা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পছন্দ করে, বিশেষত মাংস বা মাছ। তাদের পশম অত্যন্ত ঘন হওয়ায় নিয়মিত স্নান এবং ব্রাশ করা প্রয়োজন, তবে এটি খুবই সামান্য যত্ন প্রয়োজনীয়। ব্রিটিশ শর্টহেয়ার বিড়াল একটি শান্ত, স্নেহময় এবং আদুরে পোষা প্রাণী, যা বাড়িতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে আসে।

৬. বাঙালি (Bengal)

বেঙ্গল বিড়াল একটি অত্যন্ত সুন্দর, শক্তিশালী বিড়ালের জাত,তারা  শিকারী প্রকৃতির বিড়াল। বেঙ্গল বিড়ালটি মূলত লেপার্ড বিড়াল এবং ঘরোয়া বিড়ালের মিশ্রণ, এবং তার শারীরিক গঠন অনেকটাই বন্য বিড়ালের মতো। বেঙ্গল বিড়ালের শরীর শক্ত, মাঝারি থেকে বড় আকারের, এবং তাদের গায়ে সোনালি, বাদামী বা রূপালী রঙের দাগ থাকে, যা তাদেরকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং বিশেষ করে তোলে। তাদের দাগের প্যাটার্ন সাধারণত মাকড়সার জাল বা ছোট ছোট গোলাকার দাগের মতো দেখতে, যা এই জাতের বিড়ালদের একটি বন্য, প্রাকৃতিক লুক দেয়।

বেঙ্গল বিড়াল অত্যন্ত শক্তিশালী, বুদ্ধিমান এবং সক্রিয়। তারা খুবই মজবুত এবং শিকারী প্রকৃতির, তাই তাদের খেলাধুলা এবং শিকারে আগ্রহ থাকে। তারা খুবই চঞ্চল, খেলা পছন্দ করে এবং শিকারী আচরণ প্রকাশ করে, যেমন ছোট ছোট খেলনা বা চলন্ত বস্তু নিয়ে খেলা। তাদের প্রয়োজন নিয়মিত শারীরিক এবং মানসিক উত্তেজনা, তাই বেঙ্গল বিড়ালরা একা থাকতে তেমন পছন্দ করে না। তারা মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে তাদের মাঝে কিছুটা স্বাধীনতা এবং স্পেস দেওয়া প্রয়োজন।

বেঙ্গল বিড়ালদের খাবারে প্রোটিন এবং মাংস পছন্দ হয়, এবং তাদের সুস্থ থাকতে ভাল ডায়েট প্রয়োজন। তাদের পশম মসৃণ এবং লম্বা না হওয়ায় খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না, তবে নিয়মিত স্নান এবং ব্রাশ করা ভালো। বেঙ্গল বিড়াল সাধারণত খুবই বুদ্ধিমান, সামাজিক এবং স্নেহময়, তবে তাদের সজাগ এবং শিকারী প্রকৃতির জন্য তাদের কিছুটা অতিরিক্ত মনোযোগ এবং যত্ন প্রয়োজন।

এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী, সাহসী এবং প্রাকৃতিক বিড়াল জাত, যা শক্তি, বুদ্ধিমত্তা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ।

৭. স্কটিশ ফোল্ড (Scottish Fold)

স্কটিশ ফোল্ড বিড়াল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুন্দর বিড়ালের জাত, যা তার গোলাকার মুখাবয়ব এবং বিশেষ ধরনের ভাঁজ করা কানের জন্য পরিচিত। এই জাতের বিড়ালের সবচেয়ে অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো তাদের কানের ভাঁজ, যা সাধারণত নীচের দিকে পড়ে থাকে এবং বিড়ালটির চেহারায় এক বিশেষ আকর্ষণ যোগ করে। স্কটিশ ফোল্ড বিড়ালগুলো মূলত শান্ত, মিষ্টি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের হয়। তারা সাধারণত মাঝারি আকারের, স্লিম ও শক্তিশালী শরীরের অধিকারী, এবং তাদের মুখ গোলাকার এবং কোমল হয়। এই বিড়ালদের চোখ সাধারণত বড়, গোলাকার এবং উজ্জ্বল রঙের, যা তাদের আরও সুন্দর করে তোলে।

স্কটিশ ফোল্ড বিড়ালদের প্রকৃতি অত্যন্ত শান্ত এবং স্নেহময়। তারা মানুষের সঙ্গ পছন্দ করে এবং তাদের মালিকদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই বিড়ালরা সাধারণত খুবই ধৈর্যশীল, নরম এবং নম্র। তারা খুব কমই আক্রমণাত্মক হয় এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। তবে, স্কটিশ ফোল্ড বিড়ালগুলো একে অপরের সঙ্গে খুব বেশি খেলা বা যুদ্ধ করতে পছন্দ করে না, তারা সাধারণত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকতে ভালোবাসে।

এই বিড়ালগুলো খেলাধুলা বা অন্যান্য বিড়ালের সঙ্গে মেলামেশা করতে ভালোবাসে, তবে তারা সাধারণত খুবই স্বাধীন এবং নিজেদের মত থাকতে পছন্দ করে। খাবারের ক্ষেত্রে, স্কটিশ ফোল্ড বিড়ালরা প্রোটিন এবং মাংস সমৃদ্ধ খাবার পছন্দ করে, এবং তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ। তাদের পশম খুবই মোলায়েম এবং মসৃণ, যা নিয়মিত ব্রাশ করলেই বেশ সুস্থ থাকে।

এটি একটি আদর্শ পোষা প্রাণী, যাদের সাথে পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ও শান্তিপূর্ণ সময় কাটাতে পারে। তাদের মনোরম এবং স্নেহময় প্রকৃতি এই বিড়ালদের খুবই জনপ্রিয় এবং পছন্দনীয় করে তুলেছে।

বিড়ালের জাত, জন্মস্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন রকমের স্বভাবের হয়ে থাকে তারা। আপনার বিড়াল যেই জাতের হোক না কেন প্রত্যেক'টা বিড়াল অত্যন্ত আদুরে ও ভালোবাসার। 

Share

SIGN UP TO

NEWSLETTER

Get in Touch

Corporate Office:Zakir Complex (9th Floor), Ka-218, Kuril Chowrasta, Dhaka-1229, Bangladesh.

Pickup Point:Siraj Garden, Ka-193/B, Sayed Ali Member Bari, Kuril Chowrasta, Dhaka-1229, Bangladesh.

Mobile Apps

ssl-commerce
AmarPet.com© 2024 All Rights Reserved