menu logo
amar pet logo
বিড়াল পালনের উপকারিতা ও অপকারিতা: জানুন ভালো-মন্দ সবকিছু

বিড়াল পালনের উপকারিতা ও অপকারিতা: জানুন ভালো-মন্দ সবকিছু

বিড়াল পালনের জন্য আগে তার ভালো এবং খারাপ দিকগুলো বিবেচনা করা উচিত। বিড়াল আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, একাকিত্ব কমায় এবং শিশুদের অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে, বিড়াল পালনের সাথে কিছু চ্যালেঞ্জও আছে, যেমন লিটার বক্স পরিষ্কার রাখা, বিড়ালের লোম, এবং স্ক্র্যাচ হওয়া। সব কিছু বিবেচনা করে, যথাযথ যত্ন এবং ভালোবাসার মাধ্যমে একটি বিড়ালকে আপনার পরিবারে স্বাগত জানাতে পারেন।

user-profile

Tanvir Chowdhury

Writer

PUBLISHED ONOct 08, 2024

বাড়িতে ছোট্ট এই সদস্য নিয়ে আসার পূর্বে সকলের আগ্রহ থাকে চূড়ায়। বিড়াল পালনের অনেক ভালো দিক নিয়ে বহুল আলোচনা হলেও এর সমালোচনা খুব কম'ই হয়। আসুন জেনে নেই বিড়াল পালনের কিছু উপকারিতা ও অপকারীতা । 

আপনি যদি আপনার বাসায় বিড়াল নিয়ে আসোতে চান স্বাভাবিক ভাবেই আপনি বিড়াল পালনের পূর্বে এর খারাপ ও ভালো দিক গুলো বিবেচনা করবেন। বাড়িতে বিড়াল নিয়ে আসতে চাইলে শুধু মাত্র আবেগ দিয়ে ভাবলেই চলবে না বরং সবকিছু বিবেচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ। নতুবা আপনি কিছুদিন পর বিড়াল নিয়ে নানান সমস্যায় পরলে তখন তাকে রাখতে পারবেন না । বিড়াল পালনের ভালো দিক যেমন আছে তেমন এর কিছু খারাপ দিক ও আছে ।

আসুন জেনে নেই বিড়াল পালনের কিছু ভালো ও খারাপ দিকগুলো। 

বিড়াল পালনের কিছু ভালো দিকঃ 

১. পোষা প্রাণী হিসেবে বিড়াল আমাদের মাঝে অনেক জনপ্রিয়। বিড়াল অপছন্দ করে  এমন মানুষ আমাদের আশেপাশে অনেক কম'ই আছেন। বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যকার সম্পর্কগুলো অনেকটা আবেগহীন যান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। এই সময়ে পোষা প্রাণী আমাদের মানসিক ভাবে শান্তি দেয়। আমাদের বন্ধু হয়ে উঠে। আমাদের মন খারাপের সময় বিড়াল আমাদের পাশে এসে বসে আমাদের স্বান্তনা দিয়ে থাকে। তাদের আদুরে মুখ আমাদের উজ্জীবিত করে তুলে।

বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত বিড়াল আমাদের ডিপ্রেশন স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ঘরে বিড়াল পুষলে সে শুধু আপনার একাকিত্ব দূর করবে না বরং আপনার অর্থ সাশ্রয়েও সহযোগিতা করবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিড়াল পোষে তারা অনেক ক্ষেত্রেই অন্যদের চেয়ে সুস্থ্ জীবনযাপন করে। 

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বিড়ালের সঙ্গ মানুষের স্বাস্থ্যের যোগ রয়েছে। যেমন- যদি আপনার একটি বিড়াল থাকে তাহলে আপনি অন্যদের চেয়ে কম একাকিত্বে ভুগবেন। বিড়াল খুবই আদুরে প্রাণী। তাদের সঙ্গে বন্ধন নানাভাবে সাহায্য করবে আপনাকে। যারা কোনো সম্পর্কে জড়াননি, একাকিত্ব বোধ করছেন- তারা বিড়াল পুষতে পারেন। সঙ্গী হিসেবে বিড়াল চমৎকার।  

আপনার বিড়ালের জন্য ভালো মানের ক্যাট ফুড কিনতে ভিজিট করুন www.amarpet.com 

২. গবেষণা বলছে, বিড়ালের উপস্থিতিতে ঘুম আরও ভালো হয়। মায়োক্লিনিক সেন্টার ফর স্লিপ মেডিসিনের পরামর্শ অনুযায়ী, ঘুমের সঙ্গী হিসেবে বিড়ালকে রাখতে পারেন।

৩. ২০০২ সালে ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক বছরের নিচের যেসব শিশু বিড়ালের প্রেমে মগ্ন থাকে; তাদের বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

৪. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত আছে, বিড়াল ঘরে থাকলে অশুভশক্তি বা আত্মা সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। রাশিয়ার গ্রামাঞ্চলে এ বিশ্বাসটি এখনও প্রচলিত আছে।

৫. অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিড়াল হতে পারে দারুণ কিছু। বিড়াল কেবল এই ধরণের শিশুদের সঙ্গই দিবে না, তাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে। অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ও কার্যকরী একটি মাধ্যম হচ্ছে বিড়াল। কারণ বিড়ালটি এই শিশুদের সঙ্গে খেলবে সারাদিন।

৬. বিড়াল'কে প্রতিদিন আপনার হাটাতে নিয়ে যাবার প্রয়োজন নেই। 

৭. বিড়াল একা থাকতে পারে , যার ফলে আপনি আপনার বিড়াল যদি বাসায় পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে বাহিরে যান সে কোন সমস্যা ছাড়াই থাকতে পারবে। 

৮. বিড়াল খেলতে খুব পছন্দ করে । যদিও তারা দিনের বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয় তবুও যতটুকু সময় জেগে থাকে তারা খেলতে থাকে এবং খেলতে অনেক ভালোবাসে। 

৯. ২০০৮ সালের এক গবেষণা অনুসারে, কুকুরের তুলনায় বিড়াল অনেক কম খাবার খায়। তাছাড়া ঘর থেকে ইঁদুর তাড়ায় বিড়াল।

বিড়াল পালনের কিছু খারাপ দিকঃ 

১. বিজ্ঞানীরা এমন একটি পরজীবী জীবাণু খুঁজে পেয়েছেন যা থেকে মানুষ সিজোফ্রেনিয়া ও বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আশঙ্কার বিষয় হলো বেশির ভাগ বিড়ালের শরীরেই এই জীবাণু থাকতে পারে। ফলে পোষা বিড়ালের কাছ থেকেই এমন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে শিশু-কিশোরদের। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।

‘টক্সোপ্লাজমা গনডি’ নামের এই পরজীবী জীবাণুটি প্রায় সব বিড়ালের শরীরেই বাসা বাঁধতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টেক টাইমস। মানুষের মধ্যে সহজে এই ‘টক্সোপ্লাজমা গনডি’ জীবাণুর উপসর্গগুলো ধরা পড়ে না বলে প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

স্ট্যানলি মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক ই ফুলার টোরি এই গবেষণার প্রেক্ষিতে বিড়াল পোষার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। পোষা বিড়ালকে বাড়ির মধ্যেই আবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা, বিড়ালের পরিচ্ছন্নতায় মনোযোগ বাড়ানো এবং বিড়ালের থাকার জায়গা বা বিড়ালের খেলার বালির বাক্স ব্যবহারের সময়টুকু ছাড়া বাকি সময় ঢেকে রাখলে ‘টক্সোপ্লাজমা গনডি’ জীবাণুর বিস্তার রোধ করা যেতে পারে।

২. বিড়াল যেহেতু খেলা করতে অনেক ভালোবাসে তাই তাকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া দরকার হয়ে উঠে । সে আপনার সাথে খেলতে ভালবাসলে দিনের একটা সময় তার জন্য আপনাকে রাখা লাগবে। 

৩. লিটার বক্স পরিষ্কার রাখাও অনেক ঝামেলার একটি কাজ বলা যায়। বিড়াল অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন প্রাণী হওয়ায় তারা তাদের লিটার বক্স পরিষ্কার না থাকলে সেখানে পি-পটি করতে চায় না যার ফলে আপনকে সতর্কতার সাথে দিনে প্রায় ৩-৪ বার লিটার বক্স পরিষ্কার করতে হবে। 

৪. বিড়াল পালা কুকুরের থেকে কম ব্যয় বহুল হলেও যথেষ্ট টাকা খরচ হয়। কেননা ভালোমানের ক্যাটফুড তাদের খাওয়ানো উচিৎ এতে বেশ বড় একটা অংক ব্যয় করা লাগে।এছাড়াও ভেটেরানির খরচ আছে। এবং ভ্যাক্সিনেশনের খরচ রয়েছে। 

৫. বিড়াল পালনের পূর্বে সকলের একটা মেজড় সমস্যা সম্পর্কে জানা থাকে না। যার ফলে পরবর্তীতে তারা এই সমস্যার জন্য অনেক বিপদে পরে। সমস্যা টি হলো বিড়ালের লোম। বিড়ালের অনেক লোম ঝড়ে যার ফলে আপনার বাসার প্রায় সব জায়গায় দেখবেন যে বিড়ালের লোম। আর আপনার যদি পার্শিয়ান ব্রিডের বিড়াল হয় বা এমন ব্রিড যাদের লোম অনেক বড় তাহলে আপনার সারা বাসায় তাদের লোম থাকবে, এমনকি অনেক সময় খাবারেও থাকে। আপনর এমন কোন পোশাক থাকবে না যেটায় লোম নেই। তবে এই সমস্যার সমাধান পেতে হলে আপনাকে প্রচুর সময় খরচ করে লোম পরিষ্কার করতে হবে। তাদের বিভিন্ন সাপলিমেন্ট বা ভিটামিন খাওয়ানো যেতে পারে এতে তাদের লোম পরা কমে।

৬. বিড়াল পালনের আরেকটি বড় সমস্যা হলো তারা ফার্নিচার স্ক্র্যাচ করে যার ফলে আপনার ফার্নিচার এ তাদের নখের আঁচড়ের দাগ পাবেন। 

বিড়াল পালনের যেমন ভাল দিক রয়েছে অনেক  খারাপ দিক ও রয়েছে, তবে প্রচুর যত্ন ও ভালোবাসার মাধ্যমে আপনি সেগুলো ছাপিয়ে ঘরে নিয়ে আসতে পারবেন আপনার আদরের প্রিয় বিড়ালের। 

প্রিয় বিড়ালের সকল প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে ভিজিট করুন www.amarpet.com 

Share

SIGN UP TO

NEWSLETTER

Get in Touch

Corporate Office:Zakir Complex (9th Floor), Ka-218, Kuril Chowrasta, Dhaka-1229, Bangladesh.

Pickup Point:Siraj Garden, Ka-193/B, Sayed Ali Member Bari, Kuril Chowrasta, Dhaka-1229, Bangladesh.

Mobile Apps

ssl-commerce
AmarPet.com© 2024 All Rights Reserved